ঢাকা, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৌশলী লাঞ্ছিতের ঘটনায় দাউদকান্দির ইউএনও’র সহকারী (সিএ) স্ট্যান্ড রিলিজ।


প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

প্রকৌশলী লাঞ্ছিতের ঘটনায়  কুমিল্লা দাউদকান্দিতে ইউএনও’র সহকারী (সিএ) স্ট্যান্ড রিলিজ।


দাউদকান্দি,(কুমিল্লা)প্রতিনিধি ||

কুমিল্লা দাউদকান্দিতে প্রকৌশলী লাঞ্ছিতের ঘটনার সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবিতে গত ৬ জুলাই সোমবার উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী (সিএ)সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী (সিএ) আলমগীর হোসেনকে সোমবার সন্ধ্যায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামি সিএম ফারুক হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গত ৩০ জুন জেলার সদর দক্ষিন কার্যালয়ে বদলি হয়। উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলী সরকারী আদেশ মতে ২ জুন তাকে ছাড়পত্র প্রদান করেন। আব্দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন দুপুরে স্থানীয় ঠিকাদার ফারুক হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ আলমগীর হোসেনসহ ১৫/২০ জন উপজেলা প্রকৌশলীকে তার কার্যালয়ে লাঞ্চিত করে ভিতরে রেখে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে দেয় । এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার ইনিষ্টিটিউট (আইইবি)। মামলা হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী (সিএ) আলমগীর হোসেনকে সোমবার জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

এদিকে ২জুলাই ঘটনার পর ৫জুলাই উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলীর অপসারণসহ বিভিন্ন দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্বারকলিপি দেন স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার। স্বারকলিপিতে পাঁচজন ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করা হলেও আকাশ এন্টারপ্রাইজের মালিক পরিমল কোন স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেননি বলে জানান। উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলী বলেন, আমার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদেরকে রিলিজ দেয়ার পর তা বাতিল করার আরেকটি আদেশ লিখে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলে মামলায় উল্লেখিতরা। স্বাক্ষর না করায় আলমগীর হোসেন তার অফিস থেকে তালা এনে আমাকে অফিসে তালাবদ্ধ করে দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী এসআই হারিছুল হক জানান, মামলায় এজাহারভুক্ত ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।