ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাহীন লুটপাট চালাচ্ছেন সাইফুল আলম ! নিশ্চুপ ভিসি। 

প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাহীন লুটপাট চালাচ্ছেন সাইফুল আলম ! নিশ্চুপ ভিসি।


কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত এস্টেট কর্মকর্তা উপ-রেজিস্ট্রার সাইফুল আলম। সাইফুলের নানা অপকর্মে ডুবতে বসেছে এস্টেস অফিস। সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাটের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ডে-লেবার নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে ভুয়া বিল করে অর্থ আত্মসাৎ, পুকুরের মাছ বিক্রি, গাছ বিক্রি থেকে শুরু করে সবই চলছে প্রকাশ্যে। আর তার অনিয়মের বিষয় জেনেও মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন ভিসি। এ কারনে তিনি আরো বেপরোয়া।জানা গেছে, ভিসি ড. আসকারীর অত্যন্ত আস্থাভাজন কর্মকর্তা উপ রেজিস্ট্রার সাইফুল আলম। তিনি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর কাউন্সিল শাখার দায়িত্বে থাকলেও তাকে আবার এস্টেট অফিসের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ভিসির এতই আস্তাভাজন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০ জন কর্মকর্তা থাকলেও সাইফুলকে দিয়েই গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দপ্তর চালানো হচ্ছে।এস্টেট অফিসের মাধ্যমে ডে-লেবারের নামে ভিসি তাঁর এবং তাঁর অনুসারী আস্থাভাজন মানুষদেরকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন অফিসে নিয়োগ (ডে-লেবার) দিয়েছেন। এ সংখ্যা প্রায় ২৪৫। ডে লেবার ও থোক বরাদ্দের নামে অর্থ তোলা হচ্ছে।অভিযোগ রয়েছে, এস্টেট অফিসের মাধ্যমে সাধারণ/সহায়ক কর্মচারী পদের বিপরীতে দিনমজুর হিসেবে দুই শতাধিকের ওপর নিয়োগ দেয়া হয়েছে ভিসির একক ক্ষমতাবলে। নিয়োগ প্রাপ্তদের বেশির ভাগই কাজ করেন না। বসে বসে বেতন নেন। এদের অনেকেই সাবেক ছাত্রনেতা। ডে-লেবার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তরা ভিসির ক্যাডার হিসেবে কাজ করেন ক্যাম্পাসে। তারা কোন কাজ না করেই প্রতি মাসে বেতন নিচ্ছেন। এতে অর্থের অপচয় হচ্ছে। এসব ডে-লেবারের নামে প্রতিমাসে মজুরী উত্তোলন করা হয়। কিন্তু দিনমজুরের প্রকৃত সংখ্যা বা তাদের জনপ্রতি প্রাপ্য টাকার পরিমানের তথ্য সব সময় অস্পষ্ট রাখা হয়। আরও অভিযোগ রয়েছে দিনমজুরের নামে উত্তোলিত টাকার প্রায় অর্ধেকই আত্মসাৎ হচ্ছে। এছাড়া ক্যাম্পাস পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে দিনমজুরের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করে প্রতিবছর একাধিকবার বিল তুলেছেন কর্মকর্তা সাইফুল আলম। সাবেক এক ভিসির পিএস এবং বর্তমান ভিসির আস্থাভাজন লোক হওয়ায় সাইফুল আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। সঠিক তদন্তে বেড়িয়ে আসবে সকল দুর্নীতি। এদিকে এস্টেট অফিসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের মরা গাছ বিক্রির নামে অসংখ্য তাজা গাছ বিক্রি, গাছের চারা রোপন, পুকুর খনন ও মাটি ভরাট, লোক দেখানো লেকের ইজারা, দোকান বরাদ্দ, ফাঁকা জমি ইজারাসহ নানা কার্যক্রম অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যদিয়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এসব করে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার ব্যাংক একাউন্ট ঘাটলেই বেরিয়ে আসবে অবৈধ আয়ের হিসেব। এছাড়া তিনি বহু সম্পদের মালিক বনে গেছেন বর্তমান ভিসির আমলে। সাইফুলের সকল অপকর্মের নেপথ্যে কাজ করছেন ভিসির আস্থাভাজন ড. মাহবুবর রহমান ও ভিসির পিএ রেজাউল করিম রেজা। তাদের ইন্ধনেই তিনি সব কাজ পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মিরা প্রমানসহ অভিযোগ দাখিল করলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং বহাল তবিয়তে তার রাজত্ব ঠিক রেখেছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে এস্টেট অফিসার সাইফুল আলমের মোবাইলে একাধিক বার রিং দিলেও রিসিভ করেননি।