টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে যমুনায় বিপদসীমার উপরে পানি, ভাঙন অব্যাহত।

প্রকাশিত: ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০

টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে যমুনায় বিপদসীমার উপরে পানি, ভাঙন অব্যাহত।


মো. অমিত হাসান, গোপালপুর প্রতিনিধিঃ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টির কারনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনায় প্রতিদিনই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে পানি। এতে উপজেলার প্রায় চারটি ইউনিয়নের অধিকাংশ চরাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।শুরু হয়েছে আবারও তীব্র ভাঙন।টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্ববাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বন্যার আশংকা বাড়ছে। এছাড়াও ভূঞাপুরে ভাঙন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, সাতদিন ধরে হুহু করে বেড়েই চলছে বন্যার পানি । এতে যমুনার তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বহু নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ভূঞাপুরের চারটি ইউনিয়ন গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। দেখা দিয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন। বিশেষ করে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, এছাড়াও অর্জুনা, কুটিবয়ড়া এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির।কষ্টাপাড়া গ্রামের মো.মাসুদ রানা বলেন, যমুনার নদীরগর্ভে ইতিমধ্যে আমার বসতভিটা চলে গেছে। তাই এই ভাঙন থেকে এলাকাকে বাঁচাতে হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়াও বন্যার পানি প্রবেশ করায় চারটি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষি জমির সমস্ত ফসল এখন পানির নিচে। এতে বহু কৃষকের পাট, আউশ ধান, তিল, তিশি, কাউন, বাদাম, ধনে সজ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট।