প্রকাশিত: ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

কুষ্টিয়া চালকল মালিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের বৈঠক।


কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

করোনা ভাইরাসের অজুহাতে কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে চালের দাম বাড়ানাের অভিযােগ করােনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকেই। বিশেষ করে চিকন চালের জন্য প্রসিদ্ধ এই খাজানগরের মােকামে ৩ থেকে ৪ দফায় বাড়ানাে হয় চালের দাম।

চালের বাজার সিথিল রাখতে, বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির সাথে এক জরুরি আলোচনা সভা হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন এর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী সহ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার, জেলা পুলিশের কর্মকর্তা, চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অটোরাইচ মিল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি হাজী ওমর ফারুক বলেন, ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। চালের বাজার সিথিল রাখতে ধানের দাম কমাতে হবে। ধানের দাম বৃদ্ধি পেলে চালের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, এবছরে ঘূর্নিঝড় আম্পানে ধানের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকেরা ভালো ধান ঘরে তুলতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে। এতে কৃষকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর বেশি দামে ধান কিনে কম দামে চাল বিক্রি করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন চালকল মালিকদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারা বেশি মূনাফা লাভের আশায় অযথা চালের দাম বৃদ্ধি করবেন না৷ করোনা মহামারী সময়ে সকলে কষ্টে দিন পার করছে, অসহায় মানুষের কথা একটু চিন্তা করে চালের দাম সিথিল রাখার কথা জানান। তিনি আরো বলেন, বাজার মনিটরিং টিম প্রতিনিয়ত অভিযান চালাবে খাজানগরের সকল মিলে।

সরকার যে রেটে চাল বিক্রির নির্দেশনা দেন। চালের বাজার বৃদ্ধি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা অটো মেজর এন্ড হাস্কিং মিলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স এসােসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, সমিতির উপদেষ্টা এমএ খালেক প্রমূখ।