কুমিল্লার মুরাদনগরে মুক্তিযোদ্ধার সাংবাদিক পুত্রের ওপর চেয়ারম্যান বাহিনির সন্ত্রাসী হামলা।। প্রতিবাদে সাংবাদিকদের আজ মানববন্ধন।

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২০

কুমিল্লার মুরাদনগরে মুক্তিযোদ্ধার সাংবাদিক পুত্রের ওপর চেয়ারম্যান বাহিনির সন্ত্রাসী হামলা,
প্রতিবাদে সাংবাদিকদের আজ মানববন্ধন।


শাহ আলম জাহাঙ্গীর,মুরাদনগর (কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন চৌধুরীর সাংবাদিক পুত্র শরিফুল আলম চৌধুরীর ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
স্থানীয় দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানের সন্ত্রাসী বাহিনি বাড়িতে ঢুকে দা দিয়ে কুপিয়ে, হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে সাংবাদিক শরীফকে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে শরীফের মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ বাবা ও মা গুরতর আহত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায় গত শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান শাহজাহানের লোকজন বাড়িতে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে বের করে বাড়ির উঠানে এনে দা দিয়ে কুপিয়ে, হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে সাংবাদিক শরীফের দুই হাত পা ভেঙ্গে দেয়। দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে আহত করে।
তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রামদা দিয়ে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন চৌধুরীর ডান হাতে কোপ দেয় এবং রড দিয়ে পেটায়ে আহত করে।তার মায়েরও বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। হামলায় আহত সাংবাদিক শরীফের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন চৌধুরী বলেন,
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমার ছেলে শরীফ এতোদিন বাইরে ছিলো। গত সপ্তাহে শরীফ বাড়ি আসার খবর জানতে পেরে গতকাল দুপুরে আমার বাড়িতে এসে চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালায়। চেয়ারম্যান বাহিনির ভয়ে কেউ আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসার সাহস পায়নি।
পরে গুরুতর আহত আমার ছেলেকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশংকাজনক অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রত কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলার শিকার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যান শাহজাহানের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে আমার ছেলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এ ঘটনার
উপযুক্ত বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার ওসি এ.কে.এম মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উক্ত ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান শাহাজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবাদিক শরিফকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে পাঠাই।বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী বাদী হয়ে চেয়ারম্যান শাহজাহান সহ ৭জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা হয়েছে। সাংবাদিক শরীফুল আলম চৌধুরীর ওপর চেয়ারম্যান বাহিনির লোকজনের এমন বর্বরোচিত হামলা স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ তীব্রনিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। আজ সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবন্ধন কর্মসূচি রয়েছে। অভিযুক্ত আসামি চেয়ারম্যান শাহজাহান জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন বলে জানা যায়।