নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দি প্রায় বিশহাজার মানুষ। দৈনিক স্বদেশকণ্ঠ দৈনিক স্বদেশকণ্ঠ প্রকাশিত: ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২০ নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দি প্রায় বিশহাজার মানুষ। এটিএম ফোয়াদ হাসান,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা ও বিবিয়ানার পানি দ্রুত গতিতে বাড়ার ফলে ডুবছে বসতভিটা সহ রাস্তাঘাট শিক্ষা প্রতিষ্টান। আর দূর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। তিন দিন যাবৎ পানিবন্দি থাকলেও কোন সহায়তা পৌছেনি তাদের ঘরে। কোন কোন পরিবার স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আবার কোন পরিবার পানির মধ্যেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অন্যদিকে পানি বাড়ায় কুশিয়ারা ও বিবিয়ানা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। জানাযায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্রায় দুসপ্তাহ যাবৎ কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বর্তমানে কুশিয়ারা ও বিবিয়ানার পানি পয়েন্টে ৮.৪২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো ১৩ সেঃমিঃ বৃদ্ধি পেলে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে নবীগঞ্জের বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের জগন্নাথপুর, ফতেহপুর, আমরাখাইড়, চৌকি, ও হলিমপুর গ্রাম এছাড়াও উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়ন, পানিউমদা ইউনিয়ন, বড় ভাকৈর (পূর্ব) ও সদর ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় ২০,০০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমড়াখাইড় ও জগন্নাথপুরের ওয়াপদা বাধ ও শাকাতি গ্রামের পানিবন্দি মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি দূর্বিপাকে পড়েছে। একদিকে করোনা মহামারীতে মানুষ অসহায় ও কর্মহীন, অন্যদিকে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে সাধারন কৃষকরা। গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে যাতায়াত সমস্যা। আর যারা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অবস্থা ও করুন। কোনমতে টিনের ছাপড়া ও পলিথিন দিয়ে ঘর তুলে গরু, ছাগল সহ একঘরে গাদাগাদি করে থাকছে পানিবন্দি আসহায় মানুষ। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুকিও বাড়ছে। কিন্তুু এখন পর্যন্ত প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি কেউ তাদের খোজ নিতেও যায়নি। তারা বলছেন পানি বিপদসীমা পার হয়নি, আর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক। বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গৌতম কুমার দাশ জানান করোনায় কর্ম নেই। তার উপর বন্যা যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এক বেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হচ্ছে। তিন চারদিন যাবৎ পানিবন্দি থাকলেও কেউ খোজ নিতে আসেনি। আমাদের ইউনিয়নকে এখনি বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হোক। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে পেরেছি, পরিস্থিতি খারাপ হলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চাহিদা মোতাবেক চাল ও নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের ত্রান ভান্ডারে পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বন্যার্ত এলাকায় ত্রান বিতরন করা হবে। হবিগঞ্জ নির্বাহি প্রকৌশলী এমএম সৈকত জানান, পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এটি চলমান থাকলে আগামী দুএকদিনের মধ্যেই পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। পানিউন্নয়ন বোর্ড সবসময় সতর্ক রয়েছে। যাতে বন্যা সংরক্ষন বাধের কোথাও কোন লিকেজ না হয়। SHARES সারা দেশ বিষয়: