হবিগঞ্জে তিন দিনে ৪০ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ।

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২০

হবিগঞ্জে তিন দিনে ৪০ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ।


নবীগঞ্জ, (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চলসহ জেলার ৯ টি উপজেলাতেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর । কোনো কোনো অভিযানে নিজেই সশরীরে উপস্থিত থেকে জেলেদের কাছ থেকে অবৈধ কারেন্টের জাল ও বেড় জাল জব্দ করছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান৷ গত ৩ দিনে ৩৮ হাজার ৫০০ মিটার কাঁথা/বেড় জাল (মূল্য আনুমানিক ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা) ও ৮৯ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ,মূল্য আনুমানিক ৮৯ হাজার টাকা। অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে৷ শুক্রবার (২৪ জুলাই ) জেলা প্রশাসক বানিয়াচংয়ের হাওরে বন্যার্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার সময় তার উপস্থিতিতে প্রায় ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জেলেদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়৷ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনূভা নাশতারানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ বেড় জাল আটক করা হয়। একইদিনে নবীগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড সুমাইয়া মমিন এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে নবীগঞ্জ বাজার থেকে প্রায় ২৫ কেজি (আনুমানিক ১৩ হাজার মিটার ) কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এসময় একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বাহুবল উপজেলার এসিল্যান্ড খৃষ্টফার হিমেল রিছিল এর নেতৃত্বে স্নানঘাট এলাকার হাওর থেকে প্রায় ৫ হাজার মিটার কাথা জাল ও ১০০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা ও পুড়ানো হয় । বানিয়াচং উপজেলার এসিল্যান্ড ইফফাত আরা জামান ঊর্মির নেতৃত্বে গন্ধর্বপুর গ্রামের হারুনিয়া হাওর থেকে প্রায় ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিছুর রহমান খানের নেতৃত্বে কালারডোবা ও লুকড়া ইউনিয়নের হাওর এলাকা থেকে প্রায় ২০ হাজার মিটার অবৈধ জাল, ভেসাল জাল ও ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা ও পোড়ানো হয়। অবৈধ কারেন্ট জাল ও কাথা জাল ব্যবহার করে মৎস্য আহরণের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলায় পরিচালিত অভিযানে গত ২২ জুলাই থেকে গতকাল ২৪ জুলাই পর্যন্ত ৩ দিনে সর্বমোট প্রায় ৩৮ হাজার ৫০০ মিটার কাথা জাল ও ৫৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা ও পোড়ানো হয়৷ যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৮ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন-অবৈধ কারেন্ট জাল ও বেড়/কাথা জাল ব্যবহার করে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।