কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পুত্রের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০

কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পুত্রের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।


কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শরিরীক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে ইমন (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইমন কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা লাভলুর ছেলে। প্রতারিত হয়ে ভুক্তভোগী ঐ স্কুল ছাত্রী আত্মহননের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। বিচারের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
২৪ জুন বুধবার বেলা ১১টায় শহরের চর মিলপাড়ায়, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পুত্রের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ইমনকে গ্রেফতার ও প্রতারনার শাস্তি দাবি করা হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ রয়েছে, ইমনের বাবা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় এক শিল্পপতির আর্শীবাদপুষ্ট হওয়ায় উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
পারিবারিক ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস আগে একই ওয়ার্ডের চড় মিলপাড়া এলাকার মৃত হবিবর মালিথার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সুমী খাতুন (১৭)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইমন।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর এক সপ্তাহ আগে সুমীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয় ইমন। সুমি যোগাযোগের চেষ্টা করলে ইমন সাফ জানিয়ে দেয় সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না। সুমি তার সর্বস্ব হারিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়ে। ইমনকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেও সে ব্যর্থ হয়।
এরপর গত ২০ জুন শনিবার সন্ধ্যায় সুমী ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির সদস্যরা টের পেলে তাকে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে সুস্থ্য করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ইমন মুঠোফোনে সুমিকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। পরেরদিন রবিবার সুমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশংকজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুমির বড় ভাই সোহেল মোল্লা বলেন, আমার বোন সৈয়দ মাসুদ রুমী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। আমার বোনকে ইমন প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার ক্ষতি করেছে। এখন সে আমার বোনকে বিয়ে করতে চাই না। আমাদের কাছে সব ডকুমেন্ট আছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পায়নি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার শরনাপন্ন হয়েছিলাম। ইমনের বাবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর লাভলুকেও ফোনে ব্যাপারটি জানিয়েছিলাম। কোন সহায়তা পাইনি। উল্টো তাদের পক্ষ হয়ে সাবেক বিএনপি নেতা ও বর্তমান ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দীন ইসলাম আমাকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।