বগুড়ায় বন্যায় ১৬হাজার মানুষ পানিবন্দি।

প্রকাশিত: ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২০
  • বগুড়ায় বন্যায় ১৬হাজার মানুষ পানিবন্দি।


    বগুড়া প্রতিনিধিঃ

গত ২৪ঘন্টায় অতিবৃষ্টির কারণে বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি  কিছুটা অবনতি হয়েছে। জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় বন্যার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে প্রায় শতাধিক গ্রাম। শুক্রবার তিনটি উপজেলার ঘুরে দেখা যায়, যমুনা নদী এলাকার মানুষের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের স্থানে সিসি ব্লক দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পূর্ণ্যবাসন কার্যালয় থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়। সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের বাড়ি ঘর, ফসল এখন পানির নিচে রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়া চরাঞ্চলের মানুষ এখনও বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি। বাঁধের ওপর টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে কষ্টে জীবন ধারণ করছে বানভাসি মানুষেরা। বগুড়া জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী জানান, জেলার তিনটি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তিনটি উপজেলার প্রায় ১০০টি গ্রামে পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। যমুনা সংলগ্ন তিন উপজেলায় আউশ ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ১৬ হাজার পরিবারের জন্য সরকারী ভাবে ৬০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দেয়া হযেছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার ক্রয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হযেছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম জানান, ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামে যমুনার বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এই ইউনিয়নের আউশ ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ নতুন করে ১৫ টি ল্যাট্রিন ও ১৫ টিউবওয়েল স্থাপন করেছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য।