নবীগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের ব্রিজের গোড়ায় বিশাল গর্ত,দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা।

প্রকাশিত: ৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

নবীগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের ব্রিজের গোড়ায় বিশাল গর্ত,দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা।


এটিএম ফোয়াদ হাসান: নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)।হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের শুটকি ব্রীজের গোড়ায় নীচের মাটি সরে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বানিয়াচংয়ের কালিদাস টেক এলাকার শুটকি নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের গোড়ায় গর্ত সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।

এক সপ্তাহে ওই স্থানের খাদে পড়ে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, ৫ বছর আগে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে বানিয়াচংয়ের শুটকি নদীর উপর ওপর বিশাল এই ব্রিজটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।

সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে ব্রিজটির গোড়ার মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় আঞ্চলিক সড়কে দিয়ে যাওয়ার পথে যানবাহন চলাচল ঝুঁকির মুখে পড়েছে। গত কয়েকদিনে খাদে পড়ে কয়েকটি গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এতে যে কোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশষ্কা রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা বিবেকান্দ দাশ সহ কয়েকজন জানান, অতি বৃষ্টির কারণে ব্রিজের গােড়ার মাটি সরে যাওয়ার কারণে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর এসব ছোটখাটো ভাঙা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্টসহ নির্মিত কাজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথের বিভাগ টাকা বরাদ্দ করে।

প্রতি বছর হাওর অঞ্চল বেষ্টিত এই রাস্তাটির বর্ষার সময় হাওরের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ব্রিজ ও রাস্তার কাজ ঠিকমতো না করায় রাস্তা ও ব্রীজের গোড়ায় বিভিন্ন অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়। এবারও বর্ষার শুরু থেকে ইদুঁরের তৈরি গর্তে পানি ঢুকে বের হয়ে আবারও মাটি সরে গিয়ে রাস্তাটির অনেক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক ও জনপথ নামমাত্র কাজ করায় এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথের ওই সড়কের দ্বায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অতি বৃষ্টির কারনে ব্রীজের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পানি কমলে ব্রীজের নীচে কাজ করে এর স্থায়ী সমাধান করা হবে এখন আমরা বালু ও মাটির জিও ব্যাগে দিয়ে গর্ত ভরাট করে অস্থায়ী সমাধান মাধ্যমে রাস্তাটি সঞ্চল রাখার চেষ্টা করছি।