শিবগঞ্জে অসহায় বৃদ্ধাকে আদম ব্যাপারী কর্তৃক মারপিট, থানায় অভিযোগ। দৈনিক স্বদেশকণ্ঠ দৈনিক স্বদেশকণ্ঠ প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০ শিবগঞ্জে অসহায় বৃদ্ধাকে আদম ব্যাপারী কর্তৃক মারপিট, থানায় অভিযোগ। বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের শোলাগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা অসহায় বৃদ্ধা সিদ্দিকা বেগমকে স্থানীয় আদম ব্যাপারী আশরাফ আলী ঠান্ডা কর্তৃক মারপিটের ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানার অভিযোগ ও শোলাগাড়ী আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানা যায়, কিচক গ্রামীণ ব্যাংক শাখা থেকে গত ১১ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে ৪০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সিদ্দিকা বেগম নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় তিনি কিস্তি দিতে পারছেনা বলে গ্রামীন ব্যাংককে জানায়। গ্রামীন ব্যাংক থেকে বলা হয় আপনার যখন সুবিধা হবে তখন কিস্তি দিবেন। ঘটনা পরম্পরায় গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টার সময় স্থানীয় শোলাগাড়ী হাটে বৃদ্ধা সিদ্দিকা বাজার নিতে গেলে আদম ব্যাপারী আশরাফ আলী ঠান্ডা ঋণ গ্রহীতা অসহায় বৃদ্ধা সিদ্দিকাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে বলে কিস্তি বাকী রাখছিস কেন, গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বৃদ্ধাকে বাজারের মধ্যে কাপর ধরে টানাটানি ও মারপিট করে বিবস্ত্র করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াকুব বলেন, ভরা বাজারের লোকজনের সামনে বৃদ্ধা সিদ্দিকাকে চুল ধরে ছেঁচরিয়ে নিয়ে এসে মারপিট করে, এমতাবস্থায় সে বিবস্ত্র হয়ে যায়। বাদী সিদ্দিকা বেগম বলেন, কিস্তির টাকাকে কেন্দ্র করে আমাকে বিনা উস্কানিতে আদম ব্যাপারী ঠান্ডা বাজারে জনতার সামনে মারপিট করে মানহানি ও শীলতাহানি করেছে, আমি এর বিচার চাই। শোলাগাড়ী আশ্রায়ন প্রকল্পের সভাপতি মান্নান মন্ডল বলেন, আশরাফ আলী একজন মানব পাচারকারী, অল্প দিনের মধ্যে অবৈধ টাকার মালিক হওয়ায় মাঝে মাঝে আশ্রায়ন প্রকল্পের অসহায় মানুষদের মারপিটসহ বিভিন্ন হয়রানীমূলক ফন্দি আঁটতে থাকে। আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী হযরত আলী বলেন, আশরাফ আলী এতোটাই চরিত্রহীন যে, সে আমার প্রতিবন্ধিত্বের সুযোগ নিয়ে আমার স্ত্রীকে প্রলোভন দিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে আমার সংসার নষ্ট করেছে। আমি অতি কষ্টে দিনযাপন করছি। কিচক গ্রামীণ ব্যাংক শাখার ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কিস্তির টাকার জন্য কাউকে মারপিটতো দুরের কথা কোন কঠিন কথাও বলিনা, এটা তাদের পারিবারিক ঝামেলা। এঘটনার জন্য আমরা খুব বিবৃত হয়েছি। অফিসের পক্ষ থেকে সদস্য সিদ্দিকাকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। বিবাদী আশরাফ আলী ঠান্ডার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বারবার ব্যাস্ত পাওয়া যায়। শিবগঞ্জ থানা ওসি অপারেশন হরিদাস মন্ডল বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশ্রায়ন প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, মারপিটের বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধ সুতরাং থানা পুলিশ বিষয়টি দেখবে। SHARES সারা দেশ বিষয়: